সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
ঢাকা সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Post

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন এ মাসেই 

আখাউড়া প্রতিনিধি 

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন এ মাসেই 

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসে এ রেলপথে ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক ট্রেন) চালানো হবে এবং সেপ্টেম্বরে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন দুদেশের প্রধানমন্ত্রী।

এ রেলপথটি চালু হলে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপআঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণে সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে।

প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব এক হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।

দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, পাশাপাশি কমবে পরিবহন খরচও, হবে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান— এমনটাই দাবি করছেন রেলপথমন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।

গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আরও পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দুজনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশে বেশি শেষ হয়েছে এবং চলতি জুন মাসের মধ্যে বাকি কাজও সম্পন্ন হবে। তবে এই রেলপথটি চালু হলে প্রথমে দুই দেশে পণ্য পরিবহন হবে। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। দুই দেশের এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এই রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী বলেন, করোনার কারণে আমাদের দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালামালও ভারত থেকে আনা যায়নি। 

পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালামাল আনার অনুমতি পেতে বিলম্ব হয়েছিল। এখন আমাদের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। তার দাবি, বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।

টিএইচ